প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)-এর যৌথ আয়োজনে আজ ১২ই এপ্রিল বুধবার পিআইবি সেমিনার কক্ষে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়্যারম্যান ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার ও তথ্য মন্ত্রণালয়েরর অতিরিক্ত সচিব মো. মনজুরুর রহমান। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সেবা সহজীকরণ ও ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ও এটুআই প্রকল্প কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রমে জনসাধারানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সব জায়গায় এটুআই প্রকল্পের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা তৈরির পাশাপাশি জনসাধারণকে সহজে, কম সময়ে এবং কম পরিশ্রমে সেবা পাওয়ার সুযোগও তৈরি করে দিচ্ছি আমরা। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও দেশজুড়ে এটুআইয়ের সেবা সহজীকরণের যে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে যে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে এটুআই প্রকল্পের পলিসি এ্যাডভাইসার আনীর চৌধুরী বলেন, দেশে ইনোভেশনের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা নানা উদ্ভাবন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রাকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়েরর অতিরিক্ত সচিব মো. মনজুরুর রহমান বলেন, রুপকল্প ২০২১ কে বাস্তবায়নে এটুআই কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজগুলোর সাথে আরও বেশি বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার প্রচারণা দরকার। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এটুআই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় দেশের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও ডিজিটালাইজেশনের কাজ চলছে। বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিকদের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ই-লার্নিং-এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা আমরা প্রত্যহ প্রত্যক্ষ করছি, সেই অগ্রযাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়ার কোন সুযোগ আর নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে। দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গত সাত-আট বছরে যা ঘটেছে, তা বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ কার্যক্রমে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। নারীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে। নারীদেরকে অংশগ্রহণ যত বেশি নিশ্চিত করা যাবে, আমাদের সুদিন তত সন্নিকটে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা চেয়্যারম্যান রাহাত খান, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ ই মামুন, দেশ টিভির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত অলক, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, মানবকন্ঠের সম্পাদক আনিস আলমগীর, দৈনিক বর্তমানের নির্বাহী সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশীষ সৈকত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজোয়ানুল হক রাজা, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তাসহ আরো অনেকে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা সঞ্চালন করেন পিআইবি মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর।