শিশু ও নারী বিষয়ক ফিচার

ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম’ (Advocacy and Communication for Children and Women Project) প্রকল্পের আওতায় পিআইবি ১৯৯৬ সাল থেকে পিআইবি-ইউনিসেফ ফিচার কার্যক্রম চালু রেখেছে।

দেশের বিদ্যমান গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহের সমন্বিত কর্মপ্রয়াসে দারিদ্র্য, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, কর্মসংস্থান, সশস্ত্র সংঘাত, মানবাধিকার, পরিবেশ, তথ্য ও প্রচারমাধ্যম, মেয়েশিশু ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যপদ্ধতি- এই ১২টি বিষয়কে বিবেচনায় রেখে ফিচারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউনিসেফ প্রজনন স্বাস্থ্য, নিরাপদ মাতৃত্ব, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, এইচআইভি/এইড্স, আর্সেনিক সমস্যা, শিশুদের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলুন, কর্পোরাল পানিশম্যান্ট প্রভৃতি বিষয়কে উল্লিখিত প্রকল্পের প্রতিপাদ্য হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে এ ধরনের ফিচার রচনা করা হয়। পরবর্তীতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকেও ফিচারের বিষয়বস্ত্ততে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিশু ও নারী বিষয়ে পিআইবি’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিকসহ দেশের পত্রপত্রিকায় কর্মরত ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের মাধ্যমে এসব ফিচার রচনা করা হয়ে থাকে। সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞদের সম্পাদনার পর দেশের শতাধিক পত্রপত্রিকায় বিনামূল্যে ফিচার সরবরাহ করা হয়। আঞ্চলিক পত্রিকায় ফিচারগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে। বর্তমানে একই প্রকল্পের জিওবি তহবিল দ্বারা এ ফিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট চার শতাধিক মৌলিক ফিচার রচনা ও বিতরণ করা হয়েছে। এসকল ফিচার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সঙ্কলন প্রকাশ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ‘শিশু ও নারী বিষয়ক’ ফিচার নিয়ে মোট ৮টি সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে।

পিআইবি ফিচার ও বিশেষ নিবন্ধ

পিআইবি তার নিজস্ব অর্থে জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ নিবন্ধ রচনা করে থাকে। এ সমস্ত নিবন্ধ প্রকাশের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় পাঠানো হয়।